তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস‍্যের বাড়িতে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা , তদন্তে পুলিশ

16th February 2021 8:20 am হুগলী
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস‍্যের বাড়িতে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা , তদন্তে পুলিশ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে গুলি চালালো দুষ্কৃতিরা । কোদালিয়া-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য   বিজন মল্লিকের বাড়ি ব্যান্ডেল নলডাঙায় । বিজন মল্লিক সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির বাইরে থেকে গুলি চালানো হয়। একটি গুলি দরজার কাঁচ ভেঙে ঢুকে যায়।কাউকে না লাগলেও গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় পরিবারের মধ্যে । খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে যান চুঁচু্ড়া থানার আই সি অনুপম চক্রবর্তী । কি কারনে গুলি চালানো হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভয় দেখাতেই গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে যান ।বিজন মল্লিক জানান,কারোর সাথে তার শত্রুতা নেই। কয়েকদিন আগে দলের বুথ সভাপতি করা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি । দলের অঞ্চল সভাপতি অসিত মাঝি নলডাঙা বুথ সভাপতি করেন অভিজিৎ সাহাকে। মিটিং  চলাকালিন  আপত্তি করেন তিনি বলে দাবি।এছাড়া আর কোন সমস্যা কারো সাথে  নেই। কে বা কারা গুলি বাড়িতে গুলি ছুঁড়ল বুঝতে পারছি  না। তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন,খবর পেয়েই আমি ওই পঞ্চায়েত সদস্যর সাথে এবং প্রধানের সাথে কথা বলেছি।এখনো স্পস্ট নয় কে গুলি ছুঁড়েছে তার বাড়ি লক্ষ করে।পুলিশকে বলেছি ঘটনা খতিয়ে দেখতে।


তৃনমূল সদস্য জানান,তার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই তবে বিরোধী বিজেপি এই কাজ করে থাকতে পারে।ঘটনার খবর পেয়ে কোদালিয়া-২ প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস বিজনের বাড়ি যান।তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচনের আগে ভয় দেখাতেই বিজেপি এই কাজ করেছে।তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন,দুষ্কৃতিরা গুলি মেরেছে।কে কেন মেরেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি নলডাঙারই বাসিন্দা সুরেশ সাউ বলেন,তৃনমূল শেষ হয়ে গেছে এখনো বুথে কার দখল থাকবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই চলছে।কয়েকদিন ধরেই বুথ সভাপতি নিয়ে অশান্তি চলছে তৃনমূলের মধ্যে।গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা।তৃনমূল সূত্রে খবর, কোদালিয়া-২ অঞ্চল সভাপতি অসিত মাঝি নলডাঙা বুথ সভাপতি করেন অভিজিৎ সাহাকে।মিটিং এ তাতে আপত্তি করেন বিজন মল্লিক।।।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।